সুন্দর করে কথা বলতে কে না চায়? আমরা সবাই সুন্দর করে কথা বলতে চাইলেও হয়তো সবাই পারিনা। কর্পোরেট মিটিং, পাবলিক সেমিনার বা প্রিয় মানুষটার সাথে একান্তে কথা বলাই হোক না কেন।গুছিয়ে কথা বলা যেন আমাদের ব্যাক্তিত্বে আলাদা পরিচয় যুক্ত করে। কয়েকটি বিষয় খেয়াল রাখলে আপনিও সুন্দর করে গুছিয়ে কথা পারবেন।
১। পরিকল্পনা (Planning):
এ ক্ষেত্রে প্লানিং খুবই গুরুত্বপূর্ন । কথা শুরু করার পুর্বেই যদি আমাদের সেই বিষয়ে কোনো প্লানিং থাকে তাহলে বিষয়টা সহজ হয়ে যায়। অনেকেই আছেন যারা কথা বলতে বলতে টপিকের বাহিরে চলে যান। কোথা থেকে শুরু করতে হবে এবং কোথায় শেষ করতে হবে এটা নিয়ে পরিকল্পনা থাকলে কথা বলা অনেক গোছানো হয়ে উঠবে।
২।সঠিক উচ্চারন (Correct Pronunciation):
সঠিক উচ্চারণও খুবই গুরুত্বপূর্ন। কথা বলার সময় আমরা যখন প্রত্যকটা শব্দের সঠিক উচ্চারন করবো তখন তা বেশি শ্রতিমধুর এবং গোছানো শোনাবে।উচ্চারন গত সমস্যা থাকলে তা অবশ্যই অনুশীলনের মাধ্যমে রপ্তকরতে হবে।
৩। ধীরগতি ( Slowly):
আমাদের মধ্যে এমন অনেকেই আছেন, কথা বলার সময় দ্রুত কথা বলেন। এটা মোটেই ভালো অভ্যাস নয়। দ্রুত কথা বলতে গিয়ে যেমন কথা অস্পষ্ট হয়, তেমনি শ্রোতার কাছে এটা শ্রুতিকটু শোনায়।কাজেই গুছিয়ে কথা বলতে হলে অবশ্যই ধীগতিতে কথা বলতে হবে।
৪। মুদ্রাদোষ বর্জন ( Skip Unnecessary Fillers):
সুন্দর ভাবে কথা বলতে হলে অবশ্যই মুদ্রাদোষ বর্জন করতে হবে। আমাদের অনেকেরই অনেক ধরনের মুদ্রাদোষ আছে। কথা বলার সময় একই শব্দচয়ন, অপ্রয়োজনীয় শব্দচয়ন করা যাবেনা।মুদ্রাদোষ বর্জন করলে কথা বলা সুন্দর হয়ে উঠবে।
৫। সঠিক আবেগ যুক্তকরন(Connect Correct Emotions):
আমরা অনেকেই কথা বলার সময় সঠিক আবেগ যুক্তকরতে পারিনা। দুখের কথা বলার সময় যেমন মনখারাপের কন্ঠস্বর ভালো শোনায় তেমনি সুখের বা আনন্দের কোনো কথা বলার সময় আনন্দের আবেগীয় প্রকাশ প্রয়োজন।